কক্সবাজারের পেকুয়ায় ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে তাবাচ্ছুমা জন্নাত রেখা মণি নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী। শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোর রাতেই সে কীটনাশক পান করে নিজ বাড়িতেই আত্মহত্যা করে। পরে সকালে পেকুয়া থানার পুলিশের এস আই নাজমুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বহুমুখী বেশারাতুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের সুত্রে জানা গেছে, পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়ন বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার মকছুদ আহমদের পুত্র আবুল কাসেমের সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রেখা মনির। শুক্রবার রাতে রেখা মনির মা-বা পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেখা মনিকে তার প্রেমিক আবুল কাসেমসহ স্থানীয় আরো আলমগীর ও রবি এ দুই যুবক কৌশলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি মাছের ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই প্রেমিক কাসেমসহ দুই বখাটে যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই বখাটে যুবকদের ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে রাতেই ছেড়ে দেয় এবং ওই ছাত্রীকে পরিবারের হাতে তুল দেয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, রাতে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের সদস্যরা বকাঝকাসহ মারধর করেন। শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রী অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক কাসেম ও তার দুই সহযোগী বখাটে আলমগীর ও রবিউল আলম পলাতক রয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা আইয়ুব আলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওসি আরো জানান, হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট থানায় আসলে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
চট্টলা২৪/ ধর্ষণের অপমান